খরচ বেড়ে যাওয়ায় গুণতে হচ্ছে লোকসান

বাঘাবাড়িতে নাব্যতা সংকটে জেটিতে ভিড়ছে না বড় জাহাজ

Passenger Voice    |    ১১:৪৬ এএম, ২০২৪-০২-০৭


বাঘাবাড়িতে নাব্যতা সংকটে জেটিতে ভিড়ছে না বড় জাহাজ

নাব্যতা সংকটে শুষ্ক মৌসুমে বাঘাবাড়ি বন্দরের নৌ চ্যানেলে ভিড়তে পারছে না পণ্যবাহী বড় জাহাজ। ফলে ছোট লাইটার জাহাজে করে পণ্য আনতে হচ্ছে বন্দরে। এতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

সংশ্লিষ্টরা জানান, উত্তরবঙ্গের প্রধান নৌবন্দর সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি। প্রতিদিনই চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলাসহ দেশের বিভিন্ন নৌবন্দর থেকে সার, সিমেন্ট, গম, কয়লা, জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রী নিয়ে জাহাজ আসে এই বন্দরে। ফলে সারা বছরই কর্মচাঞ্চল্য থাকতো বন্দরটি। 

বাঘাবাড়ি নৌ বন্দরে কয়েক হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করেন। তবে দ্বিতীয় শ্রেণির বন্দর হওয়ায় প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুম আসলেই চরম নাব্য সংকট দেখা দেয় বন্দরের নৌ চ্যানেলে। এতে পণ্য নিয়ে বড় জাহাজগুলো বন্দরে ভিড়তে পারছে না। ফলে প্রায় ৫০/৬০ কিলোমিটার আগে থেকে ছোট ছোট লাইটার জাহাজে করে পণ্য বন্দরে আনতে হচ্ছে। এতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসান হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

মংলা থেকে বন্দরে আসা সিমেন্টবাহী জাহাজের সুকানি আব্দুল আলিম বলেন, বাঘাবাড়ি বন্দরের যে নৌ চ্যানেল রয়েছে সেখানে পর্যাপ্ত গভীরতা না থাকায় বড় জাহাজগুলো সরাসরি বন্দরে আনা যায় না। দূর থেকে ছোট জাহাজে করে পণ্য আনতে হচ্ছে। এতে যারা ব্যবসায়ীদের পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন; মোংলা বন্দর সচল রাখতে ইনার বারে পুনরায় ড্রেজিং শুরু

বন্দরে কর্মরত শ্রমিক খলিল, আশরাফ, শরিফ বলেন, আগে প্রতিদিন বন্দরে অনেক জাহাজ ভিড়তো। পানি কম থাকায় সে জাহাজ ফেরার সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আর কয় মাসে জাহাজে আমাদের কাজ নেই। সব মিলিয়ে এক প্রকার স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম এই বন্দরের কার্যক্রম। কাজ না থাকায় আমরা বেকার হয়ে বসে রয়েছি।

বাঘাবাড়ি নৌ বন্দরের সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, বাঘাবাড়ি বন্দরটি দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে রূপান্তর করা গেলে নাব্যতা সংকটের সমস্যা সমাধান হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

নদীপথে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার সার, কায়লা, সিমেন্ট, চাল, গম, জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্য আনা হয় এই বন্দর দিয়েই।


প্যা/ব/ম